Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
নদীকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
বিস্তারিত

গাইবান্ধা জেলার বালাসী লঞ্চ ঘাটে জ্যোৎসা মাখা ধু-ধু বালুচরে ১৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬.৩০টায় অনুষ্ঠিত হয় নদীকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘‘১৩শত নদী শুধায় আমাকে’’। চাঁদের আলোয় আলোকিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মো. আবদুল মতিন, জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, গাইবান্ধা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাঃ মো. আবু হানিফ, সিভিল সার্জন, গাইবান্ধা, জি. এম সেলিম পারভেজ, উপজেলা চেয়ারম্যান ফুলছড়ি, কাওছার আলী, অফিসার ইনচার্জ ফুলছড়ি থানা এবং প্রমতোষ সাহা, সাধারণ সম্পাদক, জেলা  শিল্পকলা একাডেমি, গাইবান্ধা।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন: ‘‘বর্তমান সরকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মানুষের কল্যাণে অনেক পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। সেই পরিকল্পনার অংশ হিসেবেই গাইবান্ধা জেলার বালাসী ঘাটে নদীকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আজকের এ আয়োজন। বালাসী ঘাট থেকে অল্প কিছু দিনের মধ্যে ফেরি চলাচল শুরু হবে এক্ষেত্রে তিনি নদীর সুরক্ষায় সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বলেন বালাসী ঘাট থেকে বাহাদুরাবাদ ঘাট পর্যন্ত একটি টানেল নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে বর্তমান সরকারের। ’’
এ অনুষ্ঠানে সস্ত্রীক উপস্থিত থেকে ডাঃ মো. আবু হানিফ, সিভিল সার্জন, গাইবান্ধা বলেন, ‘‘আমি এই চরাঞ্চলের মানুষ। আমার এলাকার মানুষের সাথে নদীকেন্দ্রিক গানে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। সুস্থ সংস্কৃতি মানুষকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে বলে তিনি মনে করেন।’’
এছাড়াও শুভেচ্ছা প্রদান করেন ফুলছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান জি. এম সেলিম পারভেজ, অফিসার ইনচার্জ ফুলছড়ি থানা কাওছার আলী এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা  শিল্পকলা একাডেমি, প্রমতোষ সাহা।
নদীকেন্দ্রিক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে জেলা কালচারাল অফিসার মো. আলমগীর কবির এ অনুষ্ঠানের গুরুত্ব এবং কেন নদীর তীরেই এই অনুষ্ঠান এ বিষয়ে আলোকপাত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা শিল্পকলা একাডেমির কার্যনির্বাহী কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক মাসুদুল হক, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য অমিতাভ দাশ হিমুন, মাহাবুব আলম, সাজ্জাদ চৌধুরী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
শিরিন আকতারের উপস্থাপনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নদীকে নিয়ে জনপ্রিয় ভাওয়াইয়া গান পরিবেশন করেন সিরাজুল ইসলাম সোনা, নদীর নানান প্রজাতির মাছকে নিয়ে গান উপস্থাপন করেন জিয়াউর রহমান জিয়া। লোকসংগীত, পল্লীগীতি ও আঞ্চলিক গান পরিবেশন করেন শারমিন আক্তার শিলা, কাকুলী আক্তার ও সরকার মো. শহীদুজ্জামান। এরপর রাত গভীর হলে আধ্যাত্মিক, দেহতত্ত¡, লালন গান ও বাউল গানে আসরকে জমজমাট করে তোলেন বালাসী বাউল একাডেমি, কঞ্চিপাড়ার বাউলশিল্পী জছি দেওয়ান, সেলিম, ফরিদ, জুয়েল ও মশিউর। ভাওয়াইয়া গানে নৃত্য পরিবেশন করে অরিত্রি দে সরকার হিয়া, রতন মিয়া, আরিফ ও  চন্দ্রিমা । বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে অনুষ্ঠানটিকে প্রাণবন্ত করেন তবলায় নাছেন মিয়া, প্যাডে রাগীব হাসান সন্তু, বাংলা ঢোলে মোহন দাস, দোতরায় শেতাউল ইসলাম, বেহালায় প্রদীপ কুমার বাবুল ও বাঁশিতে তাজুল ইসলাম।